টার্কি
পাখির টার্কি নাম হল একটি ‘অপনাম’ বা ইংরেজিতে আমরা যাকে বলি ‘মিস্নোমার’ (misnomer)। টার্কি পাখির সাথে টার্কি (Turkey) বা তুরস্ক দেশের কোন সম্পর্ক নেই। আমেরিকায় বসতি স্থাপনের সময়
ইয়োরোপীয়রা যখন প্রথম বিরাট আকৃতির মুরগী সদৃশ এই পাখীর মুখোমুখি হয় তখন তাঁরা একে
তাঁদের বহু পরিচিত পাখী ‘গিনিফাউল’ (Guinea fowl) এর সাথে
গুলিয়ে ফেলে। সেই গ্রিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে, আফ্রিকার পশ্চিমে গিনি (Guinea)
উপকুল অঞ্চলে প্রাপ্ত এই গিনিফাউল, যা অনেকটা আমাদের তিতির পাখির
ধরনের পাখি, তা ইয়োরোপীয়দের খাবার হিসেবে তুরস্ক বা টার্কি দিয়ে চালান হয়ে ইয়োরোপে
আসত। তাই এই গিনি ফাউলের চলতি নাম ছিল ‘টার্কি ফাউল’ বা ‘টার্কি হেন’। তাই সেই
দিশি আমেরিকান পাখির নামও ভুলবশতঃ টার্কি ফাউল রাখা হয়, পরবর্তি কালে তা সংক্ষেপিত
হয়ে টার্কি হয়ে দাঁড়ায়। এই নাম টিকে যাবার আরেকটি প্রধান কারণ হল তখনকার মানুষদের
দৃঢ় বিশ্বাস ছিল আমেরিকা আসলে এশিয়ারই একটি অংশ। ‘মেলিয়াগ্রিস গ্যাল্লোপাভো’ যা
বন্য টার্কি পাখির বৈজ্ঞানিক নাম, তাতেও এই অপনামের সংক্রমণ লক্ষ্যনীয় -
‘গিনিফাউল’কে গ্রিক ভাষায় বলা হয় ‘মেলিয়াগ্রিস’।
আর "Turning turkey" এই কথাটার উৎপত্তি তাহলে হল কি ভাবে, সেটাও একটু জানাও... এত নতুন নতুন ব্যাপার শিখছি এখানে রোজ, যে এটাও জানতে ইচ্ছে হল।
ReplyDeleteপ্রিয় পিনাকী দা,
DeleteTurning Turkey বলে কোনও phrase বা idiom এর খোঁজ পেলাম না। আমি আরো খুঁজে দেখব।
তবে Turkey নিয়ে প্রচলিত প্রবাদ গুলো যা পাওয়া যায় তা হল, COLD TURKEY, TALK TURKEY, DUST BUNNY. এসবের উৎস নিয়ে যদি জানতে চান তবে জানাতে পারি।
ব্লগ নিয়মিত পড়বার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশ্বনাথ।